🔍 সম্মেলনের প্রেক্ষাপট
২০২৪ সালের ১১-২২ নভেম্বর, আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন COP29। এই সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ছিল উল্লেখযোগ্য। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা।
বাংলাদেশের অবস্থান ও অগ্রাধিকার
বাংলাদেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে, COP29-এ নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে গুরুত্বারোপ করে:
আর্থিক সহায়তা: উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুত অর্থায়ন দ্রুত ও সহজ শর্তে পাওয়ার দাবি।
জাস্ট ট্রানজিশন: পরিবেশবান্ধব অর্থনীতিতে রূপান্তরের সময় শ্রমিকদের অধিকার ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
নারী নেতৃত্ব: জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরা।
আইনগত দায়বদ্ধতা: আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব নির্ধারণ।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে, এই বিষয়গুলোতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
🗣️ আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর
সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টাস ড. মুহাম্মদ ইউনুস উন্নত দেশগুলোর প্রতি কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমরা যেন ভিক্ষুকের মতো সাহায্য চাইতে না হয়। উন্নত দেশগুলোকে তাদের দায়িত্ব স্বীকার করে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
📈 ভবিষ্যতের পথচলা
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ২২% কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। COP29-এ বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৈশ্বিক জলবায়ু নীতিতে দেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
প্রতিবেদন: পথচিহ্ন
পদবি: প্রতিবেদক, JCV News 24







