
🔍 দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান: পতনের ধারাবাহিকতা
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০২৪ সালের দুর্নীতির ধারণা সূচক (CPI) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১০০-এর মধ্যে মাত্র ২৩ স্কোর পেয়েছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই স্কোরের ভিত্তিতে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম, যা আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ অবনমন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে ।The Daily Star+3Prothomalo+3BBC+3
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গত ১৩ বছরে কর্তৃত্ববাদী সরকার মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও বাস্তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, লালন করেছে, এমনকি দুর্নীতি সংঘটনে সহায়তা ও অংশগ্রহণ করেছে” ।BBC+2Prothomalo+2সময় নিউজ | সময়ের প্রয়োজনে সময়+2
🏛️ সেবা খাতে দুর্নীতির বিস্তার: জনগণের ভোগান্তি
টিআইবির এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ৭০.৯% পরিবার সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের সময় দুর্নীতির সম্মুখীন হয়েছে। এই সময়ে ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০,৯০২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত জাতীয় বাজেটের ১.৪৩% এবং জিডিপির ০.২২% ।ProthomaloTransparency International Bangladesh
💸 উচ্চপর্যায়ে দুর্নীতি: আলোচিত কেলেঙ্কারির চিত্র
সম্প্রতি, এস আলম গ্রুপ, সাবেক মন্ত্রী সালমান এফ রহমান, এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, ঋণ জালিয়াতি, অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশ ঋণ জনতা ব্যাংক থেকে নেওয়া হয়েছে ।BBC
এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন ।The Guardian
🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের দুর্নীতির এই চিত্র আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা বাংলাদেশের দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্যপ্রবাহের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । এছাড়া, জাতিসংঘের ঢাকা অফিস বশির গ্রুপের মালিকানাধীন ভবনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তাধীন ।Financial Times
🛡️ সমাধানের পথ: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা
দুর্নীতি রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা জরুরি:
-
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি: দুদককে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ প্রদান।dhakapost.com
-
সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ: সরকারি-বেসরকারি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা।
-
আইনের কঠোর প্রয়োগ: দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।BBC
-
জনসচেতনতা বৃদ্ধি: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
📌 উপসংহার
বাংলাদেশের দুর্নীতির বর্তমান চিত্র উদ্বেগজনক হলেও, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
প্রতিবেদন: পথচিহ্ন
পদবি: বিশেষ প্রতিবেদক, JCV News 24






