Home আন্তর্জাতিক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ: সংকট, সম্ভাবনা ও করণীয়

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ: সংকট, সম্ভাবনা ও করণীয়

76
0

🔹 ভূমিকা

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল সুশাসন প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক সংস্কার এবং একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন। তবে সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর, এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ+5BD Today+5দেশ রূপান্তর+5“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজদেশ রূপান্তর+1Bangla Edition+1

🔹 আইনি বৈধতা ও জনসমর্থন

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হলে, আদালত তা খারিজ করে দেয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন, যা আইনসম্মত এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। BD Today

🔹 সংস্কার উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কার। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারের সকল প্রচেষ্টা যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং নারী, যুব সমাজ ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। “Khaborer Kagoj-খবরের কাগজBdnews24 Bangla+1“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ+1

🔹 চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য পরিণতি

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যদি সংস্কার কার্যক্রমে ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশ আবারও স্বৈরাচারী শাসন বা সামরিক হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হতে পারে। এছাড়া, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হারালে আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে। Prothomalo+2দেশ রূপান্তর+2Bangla Edition+2Prothomalo

🔹 সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার এবং অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। তবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী মনে করেন, “বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম স্মরণকালের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে।” Dhaka Tribune

🔹 করণীয় ও সুপারিশ

  1. জনসমর্থন ধরে রাখা: সরকারকে অবশ্যই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

  2. রাজনৈতিক সংলাপ: বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা জরুরি।Prothomalo+3দেশ রূপান্তর+3“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ+3

  3. সংস্কার কার্যক্রমে গতি আনা: সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ+1Prothomalo+1

  4. নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কমাতে হবে।

  5. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

🔹 উপসংহার

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটি সংকটময় সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই সরকারের সাফল্য নির্ভর করছে জনগণের আস্থা অর্জন, রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠন এবং কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়নের উপর। যদি সরকার এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়, তবে বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।


লেখক: পথচিহ্ন | রিপোর্টার, JCV News 24
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৫ | ঢাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here