ব্রেন্ট ক্রুডের দাম $৭৪.২৮ ছাড়িয়ে গেলো; ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির সতর্কবার্তা
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার সরাসরি প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে। ১৬ জুন পর্যন্ত ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.২৮ মার্কিন ডলার প্রতি ব্যারেল, যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি ও শিল্প খাতের জন্য এটি একটি সতর্ক সংকেত। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (IEA) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা চলতে থাকলে বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি সরবরাহ চাপে পড়বে এবং মূল্যস্ফীতি নতুন মাত্রায় পৌঁছাতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের বন্দরনগরী আবাদান ও ইসরায়েলের তেল রিফাইনারির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের আশঙ্কায় পড়েছেন। এর ফলে তেলভিত্তিক ফিউচার মার্কেটে অস্থিরতা বেড়েছে এবং তাতেই দাম একলাফে অনেকটা বেড়ে যায়।
IEA-এর প্রধান অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাকলিন বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য যে কোনও সময় বিশ্ব জ্বালানি প্রবাহকে ব্যাহত করতে পারে। বিশেষত হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগরের উত্তেজনা যদি যুদ্ধের রূপ নেয়, তাহলে দাম ৯০ ডলারেও পৌঁছাতে পারে।”
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই মূল্যবৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব অনুভব করতে শুরু করেছে। পেট্রোবাংলা ও বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও আমদানিনির্ভর জ্বালানিতে খরচ আরও বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির চাপ বাড়াবে।
বিশ্ববাজারে ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তরলিত গ্যাস (LNG)-এর দরও ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে বিকল্প জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র তড়িঘড়ি করে চুক্তি নবায়ন করছে। ইইউ ও জাপান ইতিমধ্যেই কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জ্বালানি আমদানি চুক্তি নবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতি ও যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অনেকেই এই তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে নতুন “জ্বালানি সংকটের শুরু” হিসেবে চিহ্নিত করছেন। IEA সব দেশকে আরও টেকসই ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পথচিহ্ন
(ACV News 24-এর জন্য আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন)







